এই বরষায়/শীলা প্রামাণিক

পৃথিবীর আনাচে কানাচে
তাল তমালের ছায়াতলে
শান্তি পিপাসুরা স্বস্তির আস্বাদ নেয়।
ফসলের মাঠে কৃষকের ঠোঁটের হাসি
সোনালি বর্ণে চকচক করে ওঠে।
খাল-বিল পুকুর থৈ থৈ করে
রুপালি মাছের অবাধ বিচরণে।
পৃথিবীর বক্ষ ভেদ করে
কত তটিনী কত না জলনিধি বয়ে যায়।
জাহাজ নৌকো অবিরাম ভেসে চলে
এরই মাঝে নষ্টরা দখল করে নেয় বিপুল আবাস।
মাঠ-ঘাট নদী, খাল বিল
সবকিছু তাদের দখলে চলে যায়
সবুজ বৃক্ষ, ঘন বনাঞ্চল, সুউচ্চ পাহাড়
সবই তাদের শিকার হয়।
নষ্টদের লোভ আর উন্মত্ত হিংসার
কুৎসিত নিঃশ্বাসে বাতাস ভারী হয়।
আকাশের নক্ষত্ররাজিও লজ্জা পায়
জোছনারা ম্লান হয়ে যায়।
চন্দ্র, সূর্য, আকাশ দ্বিখন্ডিত হবার আশঙ্কায় প্রকম্পিত—
তাদের লোলুপ থাবায়।
এই বরষায় ধরা পৃষ্ঠ থেকে
নষ্টরা ধুয়ে যাক, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক
আকাশ ছাপিয়ে বৃষ্টি ঝরুক অঝোর কান্নায়।
বরষা নামুক তপ্ত ধুলোয়
নষ্টরা ধুয়ে মুছে ভেসে যাক প্রবল বন্যায়।