তাহমিনা সুলতানা

গুরুত্বহীন সময়।। তাহমিনা সুলতানা

একটা সময় ছিল যখন জল- ফড়িংএর
পেছনেও হন্যে হয়ে ছুটতাম!
ফড়িংটা কেন এতোটা গুরুত্ব পেতো, কে জানে!
পাহাড়কে কাছে পেতে হাঁটতাম অনেকটা পথ;
শুধু ভোরের আলো দেখবো বলে ঘুম থেকে উঠে পড়তাম অন্ধকারের কালো রাত্রিতে!

রাতের আকাশ।। তাহমিনা সুলতানা

তুমি আমার রাতের আকাশ
আমি থাকি চাঁদে
জ্যোৎস্না এসে ডেকে নিয়ে
একলা বসে কাঁদে

তুমি যদি দিনের আলো
আমি তবে পাখি
নিজের ভাষায় সুর বানিয়ে
একলা তোমায় ডাকি

তুমি যেন নিঝুম প্রহর
স্বপ্ন বসা আঁখি
“ভালো লাগে” এই কথাটি
রয়ে গেলো বাকি

তুমি আমার বাবুই বাসা
আমি তোমার রাধে
জোনাক পোকার আলোর ফোঁটায়
আঁটকে থাকি ফাঁদে!

নীল আকাশ মেঘ ছুঁয়েছে।। তাহমিনা সুলতানা

তুমি আছো বলেই এখনো বৃষ্টি ঝরেজলে ভেজে পুরোনো ঘরের দেয়ালশ্রাবণী সন্ধ্যা নামে আজও মনের ঘরেমেঘ আকাশ ছুঁয়ে দেয় খুব আজকাল।…

বিস্তারিত পড়ুন

ফুুলের মালা।।তাহমিনা সুলতানা

যদি
রাতের তারায় দেখতে পেতে মন খারাপের রং
মোমের আলোয় খুঁজে নিতে আমার কথার ঢং।

যদি
বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিতে শ্রাবণ-ঝরা রাতে
মন-জানালা খুলে দিতেম বৃষ্টি ভেজা হাতে।

যদি
বইয়ের পাতায় ঐ গোলাপ দিতে,
চিঠির ভাঁজে কথা নিতে,
আবেগ এসে জড়ো হতো কবিতার মতো।
মনের মধ্যে ফিরে পেতাম ছন্দ আছে যতো।

যদি
শ্রাবণ দিনে প্লাবন দিতে, কদম দিতাম কবরীতে
মরা গাছে ফুল ফোঁটাতাম,
মণি-মুক্তা কুড়িয়ে নিতাম।

দেখতে কেমন মালি আমি
বুঝলে না তুমি,
ফুলের মালা কতো দামী!