জাহিদুল যাদু
রুটিনমাফিক সূর্য ওঠে প্রকৃতি সরব হয়
দুস্থ মানুষ জাগে সময় গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়
স্রষ্টার ঘড়ি সচল আছে, আমাদের বিকল
বদলে গেছে চিরচেনা মানুষের জীবন ও কাল!
কর্মঠ দুটি হাত বাধ্য হয়ে নিষ্ক্রিয়
অভিশম্পাত করতে থাকে অতিমারীর স্বেচ্ছাচারী প্রহসন।
অকাল মৃত্যু তবুও মেনে নেওয়া যায়
মেনে নেওয়া দায় অকর্মণ্য ভয়াবহ
ক্ষুধার্ত জীবন।
লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন
কঠোর লকডাউনের ঘূর্ণিপাকে
দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরই মরণ।
সূর্যোদয়ে যে জীবন সরব হয়
খাবারের অন্বেষণে রিক্সা, ভ্যান চালায়
মুটে বয়,ইট ভাঙে —–
আজ তারা চোর-পুলিশ খেলছে নিরুপায়।
সমাজ রাষ্ট্রের লাগাতার বিশৃঙ্খল নীতিমালায় গরীবের জন্য কোন আশা নাই আলোও নাই।
খাদ্য না দিয়ে রিক্সা উল্টে দেওয়া কোনো সমাধান তো নয়,
কান ধরিয়ে উঠবস কিসের শিক্ষা দেয়!
এই অভিশাপ পার হলে
মানুষ সুস্থ ও সবল হলে
আমাদের ঘড়ি সচল হলে
এই স্বেচ্ছাচারিতার –
নিশ্চয় হবে বিচার।।
সাহিত্য-ডেস্ক/আজ-আগামী/২০২১/০৭/০৩/নী/জ