আজ আগামীর সাহিত্য সম্পাদকের জয়িতা সম্মাননা লাভ

আজ আগামীর সাহিত্য সম্পাদক শীলা প্রামাণিক জয়িতা সম্মাননা লাভ করেছেন। বেগম রোকেয়া দিবসে সিরাজগঞ্জের পাঁচজন নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য  এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে শীলা প্রামাণিক অন্যতম।

সিরাজগঞ্জে রোকেয়া দিবসে জেলা পর্যায়ে ৪১ জন নারীর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে পাঁজনকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এরা হলেন শীলা প্রামাণিক, ইলা রানি ঘোষ, রেহেনা পারভীন, ঈশিতা স্বপ্না ও সুমি খাতুন। শুক্রবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ সকালে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণপতি রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ান ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসনা হেনা, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোমানা রেশমা, সম্পাদক আফরিন মায়া প্রমুখ। 

শীলা প্রামাণিকের জন্ম রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার বাহমনী গ্রামে। পিতা : মনোরনজন প্রামাণিক ও মাতা রানু রানি। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি হাট খুজিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে হাটখুজিপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা কলেজে ২০০৩ সালে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০২২ সালে তিনি সহকারী-অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। সে বছরই তিনি কামারখন্দ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত হন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা চারটি। তিনটি একক ‘উৎকলিকা’ ‘আমার হৃদয় দহন’ ও ‘মেঘের ভাঁজে লোনাজল’। দুটি যৌথকাব্য ‘বিনীত প্রকৃতি’ ও ‘মৌন মোহন বিষাদ’। এ বছর বইমেলায় যৌথকাব্যগ্রন্থ ‘পালক’ ও ‘যাপিত জীবনের শ্বেতপত্র’ প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকা ও অনলাইন সাহিত্য ম্যাগাজিনে তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অত্যন্ত পরিচিত একটি মুখ। বহুগুণের অধিকারী শীলা প্রামাণিক শিক্ষকতা ছাড়াও একাধারে কবি ও আবৃত্তি শিল্পী। প্রমিত ও শুদ্ধ উচ্চারণে তিনি দক্ষ। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী, ধৈর্যশীল ও বিনয়ী একজন মানুষ।

শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা শীলা প্রামাণিক বলেন, আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি, সফলতা কখনো সোজা পথ চেনে না। সফলতা আসে সব সময় দুর্গম পথ ধরে। তাই আমার আহ্বান বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নারী সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে আসুক। প্রত্যেকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক।

আজ আগামী ডেস্ক/১২/১০/২২/৮-৩৫