পদকবিহীন এক গীতিকবি / রহিম ইবনে বাহাজ

“বেঁচে থেকে  কবি লেখকদের নাকো দাম 
মরণের পরে দেখি কাগজে কাগজে নাম”

কবিতার চরণ দুটি  বলেছেন, কবি মুহাম্মদ  কফিল উদ্দিন,
এই মহা বিশ্বের যত কবি,সাহিত্যেক,প্রাবন্ধিক, লেখক, ছড়াকার, রম্য লেখক,  স্বয়ং ব্যক্তি শুধু  মাত্র  নিজেকে  পরিচিতি  হবার জন্য  কলম ধরেছেন  এমন মানব  খুব ই কম 
অনেকে প্রায় সব কিছু উজাড় করে সাধনা করে, রচনা করেন,গান, কবিতা, বা যে কোন লেখা, এতে দেশ,জাতি,রাষ্ট্র কি দিবে! সে আশায় বুক না বেঁধে  সৃজনশীলতা বিকাশে এগিয়ে যায় দিন মান। 
এবার একটু  পরিস্কার ভাবে বলছি,
গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু র  লেখা গান 
বাংলাদেশের মানুষ  শুনেনি অন্তত  আমার  বিশ্বাস  হয়না, কারণ  বাংলাদেশের  সব ক টা জাতীয় দিবসে তাঁর লেখা গান বাজবেই 
দেশাত্মবোধক গানের গীতি কবি নজরুল ইসলাম বাবু র  গান, সব ক’টা  জানালা খুলে দাও না, একটি বাংলাদেশ তুমি  জাগ্রত জনতা, 
ও আমার আট কোটি ফুল, 
এই কালজয়ী  গান গুলো  আমাদের জাতীয় দিবসে  বাজানো হয়, মনটা বিষণ্নতার ব্যাধিতে  ভুগছি  এই কারণে  এই গানের স্রষ্টা কে কোন সরকারি পদক দেওয়া হয়নি, কেন  দেওয়া হয়নি  আমি জানি না পুরো জাতি হতাশ,
যে  মানুষ  দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গেল, কাল জয়ী গান রচনা করেছেন, বাংলাদেশ যতদিন এ ভূখণ্ডে নাম থাকবে বর্ষে বর্ষে
জাতীয় দিবস আসবে নজরুল ইসলাম বাবু র গান   বাজবে এতে কোন সন্দেহ নেই। 
বাবু র গান বিহীন জাতীয় দিবস পূর্ণতা পায় না, 
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্ যাপন    করলো,বিশ্বের নাম করা রাষ্ট্র প্রধান রা উপস্থিত হতে  দেখলাম, অনেকে অন লাইনে মাধ্যমে যোগ দিয়ে  সফল হলো স্বাধীনতার  সুবর্ণ জয়ন্তী।  বসন্তের  মতো ক্ষমতার রদ বদল হলো,কোন সরকার বা রাষ্ট্র  তাঁকে সম্মান দিলো না,  শিল্প সাহিত্যে কি রাজনীতি আছে, নিজের খেয়ে পড়ে রাত দিন  চিন্তা য়  মগ্ন থেকে  সৃজনশীল মানুষ গুলো দাম পাচ্ছে না,
গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন  নজরুল ইসলাম বাবু র  পদক পাওয়ার যোগ্য ছিল 
একই কথা বলেছেন  গীতি কবি  রফিকুজ্জামান, গীতিকার গাজী মাজাহারুল আনোয়ার  ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, একজন কবি, লেখক,গীতিকার  পদক পাওয়ার জন্য  কোন কিছু লিখে না,
মনে করুন একজন, বিএ পাস করা শিক্ষক তাঁকে ৫০০০ টাকা  দিলেন, বললেন আপনি দুটি গান,দুটি কবিতা লেখে দেন,  সময় এক মাস,  আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বড় জোর  গরুর  রচনা,অথবা ভিন্ন কিছু রচনা করতে পারবে, আবার উনি যদি  সাহিত্য মনা হয়, তাহলে  পারবে, শিল্প সাহিত্য  বিধাতা র দান,  পৃথিবীর সমস্ত কিছু জোর করে  দখল করা যায় । কিন্তু  সাহিত্যে  জোর চলেনা। 
পুরস্কার বা পদক পেলে ঐ ব্যক্তি  আরো উৎসাহিত হয়, উদ্ভাসিত হয়,আরো  উন্নত মানের লেখা র জন্য সাধণায় মগ্ন হয়,
যা হোক, পদক বা পুরস্কার নিয়ে  জবানী  বন্ধ করলাম আমার, 
আজ নজরুল ইসলাম বাবু র  জন্ম দিবস,  এই দিন টির কথা কার মনে  আছে, বা কে পালন করবে , আমার  জানা নেই   যাঁরা  নজরুল ইসলাম বাবু কে হৃদয় হতে ভালোবাসেন,  তাদের পক্ষ হতে জন্ম দিনের  শুভেচ্ছা, দোয়া আর ভালোবাসা অবিরাম, 
জামালপুর এর মেলান্দহ  ও মাদারগঞ্জ এম পি সাবেক  বস্ত্র ও পাট প্রতি মন্ত্রী মির্জা
আজম   বর্তমানে
সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ  আওয়ামী লীগ। 
সাংসদ সদস্য  উনার  মহান পরম ভালোবাসা য় একটি কাজ করেছেন 
মেলান্দহ উপজেলা র হাজরা বাড়ী  পৌরসভার   পশ্চিম দিকে মাদারগঞ্জ সড়ক এখানে  পুরাতন একটি  ব্রিজ ছিল, পুরাতন ব্রিজ টি নতুন করে  করে এই ব্রিজ টি র পূর্বের নাম ছিল  দাঁত ভাঙা ব্রিজ 
এখন এই ব্রিজ টি নাম করণ করা হয়েছে 
” বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু সেতু “

পরিষদ (১৯৭৮-৭৯) এর সাংগঠনিক  সম্পাদক  ছিলেন 
১৯৭৮ সালে সুরকার  আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এর সাথে তিনি প্রথম চলচ্চিত্রে গান লিখতে শুরু করেন। 
তিনি “দুই পয়সার  আলতা” (১৯৮২) মহা নায়ক (১৯৮৫)শুভ দা (১৯৮৬)প্রতিরোধ, উসিলা,পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯০),প্রেমের প্রতিদান চলচ্চিত্রের গানের কথা লিখেছেন। 
বাংলাদেশের সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সুবীর নন্দী, এন্ড্রু কিশোর  এবং  ভারতে  কুমার শানু,আশা ভোঁশলে,হৈমন্তী শুক্লার মতো উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও কিংবদন্তি তুল্য শিল্পী রাও তার লেখা গানে কন্ঠ  দিয়েছেন। 
নজরুল ইসলাম বাবু র উল্লেখযৌগ্য  গানের সংখ্যা ১১৩ টি, এর মধ্যে ৫২ টি আধুনিক গান, ও, ৯ ধর্মীয় গান  রয়েছে। 
নজরুল ইসলাম বাবু  এক অবিনশ্বর নাম 
বাংলাদেশ যতদিন  রবে, ততদিন  নজরুল ইসলাম বাবু র গান থাকবে ,

রহিম ইবনে বাহাজ 
কবি ও কলাম লেখক rahimibnebahaz87@gmail.com

কবি অলোক আচার্য

সকল পোস্ট : অলোক আচার্য