বাঙালি আজো পিতৃহারা।। নাজমুন নাহার রিনু

সেদিনও সুর্য উঠেছিল পূর্ব দিকে
সেদিনও ভোরের কোকিল ডেকেছিল গাছের ডালে।
মাঝিরা হাঁক দিয়েছিল দূর থেকে।
কে যায়——-?
তারপর হঠাৎ স্তব্ধতা, চারপাশে মেশিন গানের আওয়াজ।
তোমার আপনজনদের রক্তাক্ত নুয়ে পড়া শরীর
তুমি বললে, কেউ আমাক মারতে পারে না
কিন্তু তুমি জানতে না তোমার রক্তে ওরা স্নান করবে।
তুমি জানতে না পিতা
ওরা যে বেঈমান ওরা যে নরপিশাচ ঘাতক, ওরা সব পারে,
তুমিতো জানতে না পিতা ওরা কতটা ঘৃণ্য।

পিতা,ওরা তোমার তর্জনীর ভয়ে কম্পিত ছিল
তোমার সুদীপ্ত কণ্ঠের ধ্বনিতে ভীত সন্ত্রস্ত ছিল।
সেই দৃঢ় বজ্রকণ্ঠ ————–
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ঘৃণ্য ঘাতক চক্র ভেবেছিল তোমার কণ্ঠস্বর চিরতরে রুদ্ধ করবে।
বাঙালীর হৃদয় থেকে তোমাকে চিরতরে মুছে দেবে ।
ঘৃণ্য ঘাতক বুঝেনি সেদিন, বাঙালির হৃদয়ে তুমি রবে ততদিন এই পৃথিবী বেঁচে রবে যতদিন।
তুমি রবে ততদিন পূর্ব দিগন্তে সূর্যটা জ্বলজ্বল করবে যতদিন।
ঘাতকদল তোমাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্য
সেদিন জঘন্য নিষ্ঠুর ইতিহাস সৃষ্টি করলো।
পিতার রক্তাস্রোত বয়ে গেল বাংলার প্রাঙ্গণ।
পৃথিবীর আর্তনাদ সেইদিন থেকে বহমান।
সেদিন থেকে বাংলার মাটি রক্তে ভিজে লাল টকটকে।
সেদিন থেকে বাঙালি আজো পিতৃহারা।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়