হায়! স্বাধীনতা।। মোঃ মজিবর রহমান ফরাজী

রক্ত শক্ত ভক্তি
দেশ তারই অস্থি।
স্বাধীন দেশ!
রক্তের বলিদানে।

দাদা-বাবা- ভাই-বোন
স্বাধীন দেশটাই আসল মন।
আজ যারা স্বাধীন শৃংখল
দেশের উন্নয়নে আমুল পরিবর্তন, বিশ্বদখল
তবুও ভরেনা মন বাটপারিতে চ্যাম্পিয়নে দখল!

আজ গেছি ভুলে নিজ অস্তিত্ব
তাই দুর্নীতিতে অভ্যস্ত!
গৃহস্তর মুখে দিতে চুনকালি
নিজেই নিজের মান হারালি!

ধর্ম ধর্ম বুকচাপালি
ধর্ম তারই অস্তিত্ব খালি।
কর পুজা, সাধ দেশ
স্রষ্টার পুজায় অস্তিত্ব বেশ।

অবৈধ্য সম্পদ আজ পেলে
কালকে কি জুটবে তোরকপালে?
যদি বলি নিশ্চিত ভাবি মুহূর্ত,
আমার না,
তবে কার জন্য অন্যায়ে গড়া সম্পদের পাহাড়?

যদি বলি দেশ মাকে ভালোবাসো?
মুখে প্রস্ফুটিত হাসি অবশ্যই,
যদি বলি রক্ত দিতে পারবে?
মুখ বিষাদমাখা, নতজানু ‘হ্যাঁ’
কিন্তু পারবে না দিতে নিশ্চিত সত্য
কারণ অন্যায় তোমার পরতে পরতে।
সে কীভাবে দেবে রক্ত দেশকে?
দুর্নীতি আর দেশপ্রেম একত্রে থাকে না।
ধিক তোমাদের ধিক
সব তোমাদের ফিক।

ভালোই ভালোবাসা বাঁধে বাসা,
অস্তিত্ব তার দিল খাসা।
সর্বজ্ঞ সত্ত্বা ও চৈতন্য ভরা
মুরুদ নাই প্রতিবাদ করা।

প্রতি জাতীয় দিবসে,
ফুল আর পদধ্বনিতে শহিদ মিনার ঠাসা
এই কি শহিদদের পাওনা?
এই আশায় বুকপাজোর পেতে
বেয়োনেট, গ্রেনেডের সামনে নিশ্চিত মৃত্যু জেনে!

শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কপালে জোটে ফুল
ইচ্ছেমতক পদধ্বনি কবরের পাশে জুটল।
দেয় যদি ভালোবেসে
দুর্নিতি কখনই না পারে করতে।
জোটে না স্বাধীন দেশের মানুষের কাজ, আহার,
জোটে শুধুই ধিক্কার পাইনা বিচার ।

আনন্দে উদ্বেলিত পালিত সুবর্ণজয়ন্তী
জণগন অভাবে জর্জড়িত, পণ্যমুল্যে অশান্তি।
রাজায় খায়, রাজায় নাচে
প্রজা খুদায় জ্বলে, অভাবেরে আলিঙ্গন।

নষ্টোদ্ধার না পাকে হাত
উতকৃষ্ট সর্নাশে কুপকাত
নাই, নাই রক্ষা নাই
মানব জনম মিথ্যাই রয়।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়