কেতাদুরস্ত।। সাধন কুমার দাস

কী আশায় দিয়েছিল ঠাঁই, পেলে সাধারণের মন
শপথ ভুলে বেজায় মত্ত ভোগবিলাসী জীবন
ফুলের মাঝে হারিয়ে ক্ষণিক নিষ্পাপ চরিত্র গঠন
নরকরাজ্য কাঁটায় বিঁধে হচ্ছে যে তার মরণ

তোমার ভাই, আমার ভাই, রাম ভাই, রহিম ভাই
প্রিয় ভাই প্রয়োজনে, কোন্ সে কুপি-আঁধারে নাই
ক্ষুধা মিটাতে গাঁও-গেরামে, ছিলো না কোন গন্ধ
গন্ধরাজ আঁতর আলী তখন নেশায় অন্ধ।

উপর থেকে আমার প্রাপ্য আসে ঠিকই দেখি
মন্ডা-মিঠাই দুঃস্বপ্নে, বানায় সবই মেকি
দুর্বোধ্যের অপেক্ষাতে, দুর্লভ নাগরিক সনদপত্র
ভাগ্যগুণে জুটবে সই, চারিত্রিক সু-পত্র

প্রকৃতির মহৎ প্রণোদনায়, উৎসব তাপানুকূলে
বুধো’র ধন বাঘের পেটে, পিঁপড়া পথ ভুলে
ঝড়-ঝঞ্ঝায় কাঙাল কাঁদে, দিগ্বিজয়ে রাবণ বসে
মস্তকে সচ্চিদানন্দ, মর্ত্যের চোরা অসুর হাসে।

অন্যায় খোঁজে মহাবিপদ, চলুক জুলুম নির্বিচারে
চিলেকোঠার আইন সমেত নিরীহরা কেবল মরে।
কায়দাহীন মদ্যপানে,ভুতের আবাস সরষে ক্ষেতে
এঁটেছে মুখ গোলকধাঁধায়, যত গোল নিয়তি’তে..!

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়