তাহারা বিদায় নিয়েছে

মতিন বৈরাগী

অনেক দূর থেকে ভাসমান শব্দসুর দক্ষিণের; উত্তরমুখী
অরণ্য পর্বত, শস্য ক্ষেত ছন্দপতন নদীর, মেঠো পথ
গোধুলিরাঙা আকাশ-ছটফটানি, ওপাড়ে কোড়াপাখির ডাক
বৃদ্ধের কান্নার মতো রাতের বেহালা পাঠ
মুক্তির ইতিহাস, কিন্তু ইতিহাস ঝাপসা ঘষামাজা মোছামুছির
সময় ভাঙাভাঙা উত্তরাধুনিক বিশৃংখলার হাবিজাবি
শৃংখলার উৎকেন্দ্রিকতা ছড়ানো ছিটানো- তীক্ষ্ন আর্তনাদ
না গান না কান্না কেবল গোঙানী
লম্ফঝম্পের সময় সময়হীন এক বাস্তবতা
অগুণতির পেটখিদে মোহান্ধ নিয়তিদুষ্ট নির্গতি ;
কম্পমান অরণ্যআঁধার দৃশ্যমান ক্ষণে ক্ষণে দানাদার আঁধার পেন্ডুলাম
দাসত্বের ইতিহাস বিনির্মিত ক্ষমতার কষাপাকে লিপজেল লিপজেল হাসি ,
আর
কান্নায় মেহেনত পাথরমাটির হীরাচুন্নির শঙ্কর ধুলোধুলো ধুলিকণা
টাকা টাকা টাকা, খচমচ খচমচ ঝনঝন তবু খিদে
আমি বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের রূপদোলায় বিগলিত
বিচ্ছিন্ন পরিত্যক্ত ঝরাপাতায় কান্নার হিম তিতো স্বাদ

নাই কোনো রা, ল্যাপ্টানো সময়ের কর্কশ খুর তলে
হাঁটায় দমকারঝাপটা শিকারী ঈগলের কর্কশ পালকখোঁচা
কালনিদ্রা,কালনিদ্রা বেহুলাবাসরের আঁধার, মুখমোছে কালনাগ
স্বপ্ন সে স্বপ্ন, পোষাকী হাভাতের সভ্যতার ব্যাঙ্গ; অচেনা জঙ্গল
হাত পায়ে লেপ্টানো সময় নির্মম ভোঁতা নখ আঁকুতির দাগটানে
বাঁচার কী আর্তি, তবু মৃত্যু ধর্ষণ দৃশ্য শেষ
অদৃশ্যের আঙুল সাঁড়াশির বেস্টনির চাপ, শ্বাসটুকুর নিঙরানো রস
কণ্ঠনালীর ঘড়ঘড় গাড়ল রজণী
প্রতিশ্রতিগুলোর ক্রমাগত বিস্মরণ বিস্মৃতি তবু বিমোহিতরূপ
দাঁড়ানো হুরপরী আবার গেলমান- লিঙ্গের টানটান সুখ
আর গুবরেপোকার ভূঁড়িভোজ হাড়ের মজ্জায়।

দৌড় সে দৌড় ঘুম খাঁচায় ঘোরে-বেঘোরে প্রাণচেপে চেপে
আমার কোনো আকাশ নেই বন্দীর চোখ; ছায়ার মতো মানুষ
বোবাস্বর মিনতির বুকফাটা মুখ
তারারা হাপিস নক্ষত্রবালির বেদনা আকাশ
ইতিহাসে তাহাদের চমকানো বিদায়।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়

মন্তব্য করুন