বৃষ্টিভেজা অমানিশা/তন্ময় রাহুল

তাজ, চিকু, তৃনা তিন বন্ধু একই ভার্সিটিতে পড়ে। তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। সবাই খুব ব্যস্ত, পরীক্ষা নিয়ে। আর টেনশন তো রয়েছেই। তবে এর মধ্য আনন্দও উঁকি দিচ্ছে অনেক দিন পর লম্বা ছুটিতে যার যার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া যাবে বলে।

আজ বুধবার, কথাছিল ‘ল’ শেষে সবাই বকুল তলায় মিলিত হবে। বিকেল ৪টা পরীক্ষা শেষ হলো ওর, যে যার মতো বকুল তলায় আসলো।
তৃনা: কিরে কেমন দিলি পরীক্ষা া?
তাজ: ওই হলো এক রকম।
চিকু: আমি তো পুরো সাইড ম্যানকে কপি করে দিলাম।
তাজ: দেখতে দেখতে পরীক্ষাটা শেষ হয়ে আসলো।
তৃনা: হ্যারে আর একটা বাকি আছে।
চিকু: তাজ এবার কিন্তুু আমার সাথে গ্রামের বাড়ি যেতে হবে।
তাজ: সে আর বলতে, এবার তোর সাথেই যাব।

এভাবে গল্প করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে যে যার মতৈা বিদায় নিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত, রাতের পরে সকাল। এমনি করে ওদের শেষ পরীক্ষা চলে আসে । তাজ তৈরি হচ্ছে পরীক্ষা দিতে যাবে বলে, হঠাৎ এসময় ওর ফোনটা বেজে উঠল দেখল ওর দাদু কল দিয়েছে।
…কেমন আছিস দাদু ভাই?
…হ্যাঁ দাদু ভাল আছি। তুমি?
…ভাল, পরীক্ষা কেমন হচ্ছে?
…ভাল দাদু। আজ শেষ হবে।
…তাই, শোন তোমার ছোট মামা বাড়িতে এসেছে(ছোট মামা বিলেতে গিয়েছিল)। তোমার পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্র চলে আসবে, তোমার ছোট মামা তোমার কথা বলছে খুব।
…কিন্তুু দাদু….
…না কোনো কিন্তুু নয়। পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্র চলে আসবে। ছাড়লাম, ভালো থাক।

তাজ একটা দো’টানায় পড়ে গেল ।
কী করে চিকুকে ম্যানেজ করবে! না কি চিকুকে নিয়েই দাদুর বাড়ি চলে যাবে। পরীক্ষার হলে পৌঁছে গেল। বিকেল ৪টা পরীক্ষা শেষ।
চিকু, তৃনা গল্প করছে তাজ আসছে না দেখে, তৃনা বলল কিরে চিকু তাজ কোথায়? আরে ওর তো পরীক্ষা শেষ হতে এখানে আসার কথা। তাছাড়া ওর আমার সাথে যাওয়ার কথা। এ কথা বলতে বলতেই তাজ চলে আসল।
তাজ বলল সরি সরি তোদের দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য।
তৃনা বলল হয়েছে আর ফরমালিটি দেখাতে হবে না।
চিকু বলল কিরে সব গুছিয়েছিস তো?
তাজ বলল দোস্ত সব গোছানোই আছে। কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ দাদুর ফোন তার করা আর্জি ছোট মামা বিলেত থেকে এসেছে আমাকে পরীক্ষা শেষ করেই দাদু বাড়ি যেতে ।
তার মানে তুই আমার সাথে যাচ্ছিস না?
তাজ বলল দেখ দোস্ত আমার তোর সাথে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তুু………. তাই বলি কী তুই আমার সাথে চল।
চিকু রেগে গেল
তা দেখে তৃনা বলল, চিকু রাগ করে কিছু হবে না, তোর বাড়িতে আমরা সবাই মিলে সামনের ছুটিতে যাব।
তাজ বলল চল তুই আমার সাথে।
চিকু বলল না আমি বাড়ি যাব।
তৃনা বলল তাহলে আবার সবার সাথে ক্যাম্পাসে দেখা হচ্ছে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে ।
সবাই চলে গেল।
তাজ তার রুমে এল…..
সন্ধ্যা ৬টা তাজ দাদু বাড়ি যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হলো।
সিএনজি নিয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছাল।
রাত ৮.১৫মি. এ ট্রেনের টিকিট কাটল।
ঘড়িতে ৭.৫৫ তাজ তার কামড়ার আসনে বসল । সে একটু হিসেব করে দেখল ট্রেন এখলাসপুর গিয়ে পৌঁছাতে ১১টা কী ১১.৩০ মি. বাজবে। সে দাদুকে ফোনে জানিয়ে দিলো সে রওনা দিয়েছে।
রাত ৮.১৫ ট্রেনের ইঞ্জিন চালু হলো।
ট্রেন ছুটতে শুরু করল।
তাজ ভাবল চিকুটা আসলে ভালো হতো।
তাজ কানে ইয়ারফোন গুজে গান শুনতে লাগল। ট্রেন ছুটছে হিমেল বাতাস তাজকে শিহরিত করে ফেল্লল। তার একটু তন্দ্রা চলে আসলো।

হঠাৎ ট্রেনের ঝাকুনিতে তার তন্দ্রা ভাঙল।
ঘড়ির দিকে তাকাতে দেখল রাত ১১.১৫।
সে কনট্রাক্টরকে জিজ্ঞেস করল এখলাসপুর যেতে আর কত সময় লাগবে?
কনট্রাক্টর বলল স্যার বৃষ্টি হচ্ছে তো তাই একটু সময় লাগবে। তবে ৩০/৩৫ মিনিট-এর মধ্যে পৌঁছে যাব।
তাজের মোবাইলটা বেজে উঠল , দাদু কল করেছে। কী নাতি কত দুর? দাদু কাছাকাছি চলে আসছি। আর খানিকক্ষণ লাগবে। বলছি ট্রেন স্টেশনে বজলুকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। না দাদু আমি চলে আসতে পারব। আচ্ছা সমস্যা হলে কল দিস আচ্ছা দাদু।
তাজ দেখল বৃষ্টি একটু থেমেছে।
রাত ১২.৫ এ ট্রেন এখলালপুর আসলো। তাজ নামল সঙ্গে গুটি কয়েক যাত্রী।
স্টেশনে কোন ভ্যান /রিক্শা পাওয়া গেল না।
এক যাত্রী জিজ্ঞেস করল, বলল কোথায় যাবেন তাজ বলল খানবাড়ি যাবে।
ও তাই আমিও ওই দিকে যাব চলুন তাহলে দু’জন একসাথে যাই।
তাজ একটা ধাবা থেকে ৫টা সিগারেট লাইটার নিয়ে নিলো। চারদিকে হিমেল বাতাস মেঘলা আকাশ। স্মোক করতে করতে হাঁটতে থাকল দু’জনে.. ..
বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা কাদা হয়ে গিয়েছে আর একে তো অন্ধকার তাই চলতে কষ্ট হচ্ছে।
এর মধ্যে ঐ লোকটার বাড়িতে এসে গেল। সে বলল এখনও দেড় কিলো পর খান বাড়ি। তাজ কি একা যেতে পারবে নাকি কাউকে দিয়ে দেবে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসতে। তাজ সাহসিকতারসাথে বলল পারবে,
অগত্যা তাজ একা চলতে লাগল..
কিছু দুর যাওয়ার পরে বৃষ্টি শুরু হলো তাজ বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলতে লাগল।
হঠাৎ কিছুদূুর যাওয়ার পর তাজ একটি বাড়ি দেখতে পেল.. আলো জ্বলছে। তাজের মনে একটু সাহস সঞ্চার হলো। যদি কোনো সাহায্য পাওয়া যায় এই মুষল ধারা বৃষ্টিতে।
আবার ভাবছে এত রাতে কারো বাড়িতে নক করা ঠিক হবে কি না।
অতঃপর সে বাড়িতে নক করল।
দু’বার নক করার পরে একজন বৃদ্ধ মহিলা দরজা খুলে দিলো, তাজ সালাম দিলো। সব ঘটনা খুলে বলল। শুনে তাকে ভেতরে আসতে বলল।
তাজ ভিতরে প্রবেশ করল।
বেশ গোছানো ঘর।
বৃদ্ধ মহিলা তোয়ালে এনে তাকে শরীর মুছতে বলল।
তাজ ধন্যবাদ জানাল।
তাজ জিজ্ঞেস করল এখানে কে কে থাকে?
বৃদ্ধা বলল আমি আমার নাতি। আমার ছেলে শহরে চাকরি করে মাঝে মাঝে এখানে আসে।
বৃদ্ধা বলল তুমি বস। আমার নাতি নাস্তা দিচ্ছে।
একটু পর তার নাতনী নাস্তা নিয়ে আসলো।
তাজ তার নাতির দিকে তাকাতেই তার চোখ আটকে গেল মায়াবী চোখ দেখে।
যেন একদম নিস্তব্ধ।

২য় ভাগ

তাজ একা শুয়ে আছে। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে, চালের উপর বৃষ্টির ফোঁটার টুপ টাপ শব্দ বয়ে যাচ্ছে। তাজ যেন কিছুতেই তার দু’চোখের পাতা এক করতে পারছে না। শুধু সেই মায়াবী চোখ দুটো ভেসে উঠছে। এমন বৃষ্টি ভেজা রাতে যদি সে ভিজতে পারত…… এমন ভাবনা গুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার রুমে কারো উপস্থিতি টের পেল। কেমন একটা হিমেল হাওয়া বয়ে যেতে লাগল সে আবছা আলোয় বুঝতে পারছিল না…. একটু ভয়ও লাগছিল। তো তাজ কিছু বুঝে উঠার আগেই ওপাশ থেকে শোনা গেল,

কি এখনও ঘুমাননি?
<ইয়ে.. মানে..
ভয় পেয়ে গেলেন বুঝি?
<না.. আ.. আপনি এ.. এত রাতে!
ভয় যদি না পেতেন তবে এত ইতস্ততঃ করতেন না,তোতলাতেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমি নিশি। বলেই মেয়েটা তাজের সামনে এসে দাঁড়াল।
<ও আপনি (তাজের আড়মোড়াটা দূর হলো) তো এত রাতে?
ঘুম আসছিল না। পানি খেতে আসছিলাম, আপনার রুমের দরজায় চোখ যেতেই দেখলাম দরজা খোলা আপনি সজাগ। তাই একটু খোঁজ খবর নিতে আসলাম।
<না, নতুন জায়গাতো তাই একটু…….
আপনার নামটা কিন্তুু জানা হয়নি?
<তাজ আমার নাম। আপনার?
নিশি। আপনার নামটা বেশ সুন্দর। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে।
<(তাজ আস্তে আস্তে নিশির প্রতি কেমন একটা মোহে ডুবে যাচ্ছে) হ্যাঁ বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি আপনার কেমন লাগে?
অনেক ভালো। আর ভিজতে আরো ভাল লাগে। তবে জানেন একা একা ভেজার মাঝে কোনো বীরংঃবফ নেই।
<তো!
যদি কেউ বুঝেও না বুঝে, তাকে আর কী করে বুঝাই!
<সত্যি বলতে আমারও ইচ্ছে করছে বৃষ্টিতে ভিজতে। তবে ভয় হয় যদি আপনার দাদী জেগে যায়!
দাদী ঘুমচ্ছে। জাগবে না।

তবে ভিজবে বৃষ্টিতে? বলেই তাজ তার হাতটা বাড়িয়ে দিলো। নিশিও তার হাতটা ধরল। তারা দু’জন বেরিয়ে গেল বাহিরে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে, দু’জন ভিজছে পাশে কদম ফুল গাছ থেকে বেরিয়ে আছে মোহমিত ফুলের সুবাস। এ যেন এক রোমাঞ্চে রোমাঞ্চিত চার পাশ। নিশি পড়াছিল সাদা স্যালোয়ার.. তার চোখ থেকে যেন তাজ চোখই ফেরাতে পারছে না। আর এমন সময় চিকুর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল , ও থাকলে কত কিছুই না কল্পনা করত।
নিশি তাজকে বলল, যে হাত ধরলাম সে হাত আবার ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে নাতো? তাজ বলল, হাতটা ছাড়ার জন্য ধরিনি আর ছাড়াতো বহুদূর!
এক পর্যায় ওদের বৃষ্টি ভেজা শেষ হলো। যে যার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো।
রাতের প্রহর প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে বলে, এমন সময় নিশি এলো, তাজ বলল আবার কবে দেখা হচ্ছে? নিশি বলল যদি তুমি চাও তবে আমরা প্রায় দেখা করতে পারি, তবে সেটা শুধু রাতে!
তাজ বলল দিনে নয় কেন? নিশি বলল এটা গাঁ গ্রাম এলাকা ,লোকে দেখে ফেললে নানা সমস্যা আরো অনেক কিছু বলল) ।
এক পর্যায় তাজ রাজী হলো।
নিশি বলল তাজ তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও। কারণ একটু পর ফজরের আজান দেবে, লোকজন জেগে যাবে, তোমাকে আমাদের বাড়িতে দেখলে সমস্যা হবে।
তুমি তৈরি হও,
আমি দাদীর বসার রুমে আছি।
তাজ প্রথম অবাক হলেও, গ্রামের কথা ভেবে স্বাভাবিক ভাবে নিলো।
তাজ রেডী হয়ে বসার রুমে এলো। তাজকে নিশি ও তার দাদী বিদায় জানাল।
তাজ চলতে লাগল পিছু ফিরে তাকাল না। একটু পর ফজরের আজান দিলো। অনেকে নামাজ পড়তে বের হলো। তাজের সাথে কয়েক জনের দেখা হলো।
বলল, আরে তাজ তুমি এত সাত সকালে কোথা থেকে?
তাজ রাতের কথা চেপে গেল, বলল বৃষ্টির কারণে ট্রেন আসতে দেরী হয়েছে। সে জন্য এই সাত সকালে…….
ও তাই বলো।
তাজ খুব ভোরে তার দাদু বাড়ি আসলো।
সবাই খুব টেনশনে ছিল, তাজ এখানেও ট্রেন বিলম্বের কথা বলল।
তাজ ফ্রেশ হয়ে, একটু ঘুমিয়ে নিলো।
তারপর নাস্তা করল। মামার সাথে কথা বলল। দিপু তাজের মামাত ভাই।
দিপু তাজ বের হলো, এভাবে বেশ ভলোই কাটছিল।
তাজ আর দিপু দু’জন এক রুমে রাতে ঘুমাত।
দিপু প্রায়ই খেয়াল করে গভীর রাতে তাজকে বিছানায় দেখা যায় না।
এতে তার কেমন সন্দেহ কাজ করে।
তাজ প্রতি রাতেই নিশির সাথে দেখা করতে যায়। তাজ একটা জিনিস খেয়াল করল নিশি সব সময় সাদা সব কিছু পরে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে, তার সাদা রং ভলো লাগে।
আর, নিশির শরীরটা সব সময় অদ্ভুত রকমের ঠাÐা থাকত। তাজ জিজ্ঞেস করলে বলে, মাটির ঘর তো আমাদের তাই এরকম ঠাÐা।
এমনিভাবে চলছিল।
দিপু তাজকে জিজ্ঞেস করেছিল সে মাঝ রাতে কোথায় যায়? তাজ নানা কথার তাল বাহানায় এড়িয়ে যায়। এদিকে তাজের ছুটি শেষ হয়ে আসে, তার বন্ধুরা তাকে ভার্সিটিতে যাওয়ার তাড়া দেয়, কিন্তুু তাজের কোনো তাড়া নেই।
তাজ স্বিদ্ধান্ত নেয় নিশিকে বিয়ে করবে, আর আজ রাতে নিশিকে জানাবে।
দিপু আজ জেগে থাকে ,সে অপেক্ষায় কখন তাজ বের হবে, কারণ আজ সে তাজের পিছু নিয়ে দেখবে, সে এত রাতে কোথায় যায়।
রাত ১২.৫মিনিট-এ তাজ বের হয়, দিপু তার পিছু নেয়। তাজ অনেক জলদি হাঁটছিল, দিপু হাঁপিয়ে যাচ্ছিল।
অনেকক্ষণ হাঁটার পরে তাজ থামে, দিপু দেখে সে পুরনো একটা কবরস্থানের পাশে কদম ফুল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে, একা একা কথা বলছিল। ব্যাপারখানা দিপুর ভালো ঠেকল না। অনেকক্ষণ পরে তাজ বাড়ির উদ্দেশে হাঁটা শুরু করল। দিপু চট জ্বলদি দৌড়ে আগে এসে শুয়ে পড়ল। তাজ কিছু বুঝল না।
পরদিন তাজই দিপুকে বলল জানিস দিপু আমি একজনকে ভালোবাসি, আর তার সাথে দেখা করার জন্য প্রতি রাতে ঘর থেকে বের হই।
দিপু বলল, ভাইয়া তার বাড়ি কোথায়?
তাজ বলল, ঐতো দক্ষিণ পাড় দিয়ে গিয়ে সোজা পশ্চিমে গিয়ে বাকের পাশে যে কদম গাছ, তার পাশে।
বলো কী ভাইয়া! ওখানে তো কোনো বাড়ি নেই।
কী বলিস তুই? আমি নিজে দেখেছি ওখানে বাড়ি আছে। আমি ওখানেই তো নিশির সাথে দেখা করি।
কী বলো ভাইয়া নিশি আপুতো বছর ২ আগে আত্মহত্যা করেছে,আর তার দাদী সেই শোকে ওখানেই মারা গিয়েছে । আর ওখানে কদম তলার পাশে তাদের দু’জনের কবর। আর তার বাবা ঢাকা থাকে। নিশি আপু একজনকে ভালোবাসত। তা তার বাবা মেনে নেয়নি। তাকে, নানা ভাবে ভৎসনা করার পরে রাগে ক্ষোভে নিশি আপু আত্মহত্যা করে।
তুই পাগলের মতো এসব কী বলছিস , আমি এসব বিশ্বাস করি না।
বিশ্বাস না করলে আমার সাথে চলো,
তাজ দিপুর সাথে যায়, গিয়ে সে হতভম্ব হয়ে যায়, কদম ফুলের পাশে দুটি কবর দেখতে পায়।
সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। হতবিহŸল হয়ে পড়ে। মুর্ছা যায়। কী হয়ে গেল তার সাথে……..
তাজ অসুস্থ হয়ে পড়ে।

৫বছর পর আজ তাজের বিয়ে তৃনার সাথে…
তাজ তৃনার চেখে খুঁজে বেড়ায় , বৃষ্টি ভেজা অমানিশাকে।