স্বপ্ন-বিলাস।। মধুবন্তী আইচ

কাল তোমাকে দেখলাম মজে আসা জ্যোৎস্নালোকে,
আপাত শান্ত সাগরের পার ধরে হেঁটে চলেছো — ধীরে।
তিরতিরে ছোটো ছোটো ঢেউ এসে স্পর্শ করছে শুভ্র পায়ের পাতা,
প্রতিটি স্পর্শে কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে অনুভব করছো

বাঁকা চাঁদ এলো ঈদের খুশি নিয়ে।। মাহমুদা রিনি

ঈদের আনন্দ শুরু হয় চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে, একমাস রোযা পালনের পর নতুন চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে ঈদের সূচনা হয় এবং জনজীবন মেতে ওঠে খুশির জোয়ারে। সামর্থ্য অনুযায়ী ঘরে ঘরে তৈরি হয় নতুন সব সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। যারা জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে থাকে তাদের ঘরে ফেরার আনন্দ অপরিসীম।

নীল ভালোবাসা।। নাজমুন নাহার রিনু

নুড়ি নতুন দুটি ঘর তৈরী করেছে। একটু জমি কিনেছে। ভাড়া ঘর ছেড়ে নতুন ঘরে উঠবে। স্বামী তার এসব বিষয়ে মাথা ঘামায় না। স্বামী নিজের চাকরি বন্ধু পরিজন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

রম্যরচনা-আঁখ মারে।। জাহিদুল যাদু

মেয়েটি সুন্দর, নজর কাড়া সুন্দরী কোন সন্দেহ নেই। পাড়ার ছেলে ছোকড়ারা তার পিছে বনবন করে ঘুরতে থাকে। মেয়েটির কোমর পর্যন্ত ঘনকালো চুল আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। মেয়েটি স্যালো মেশিনের মতো খটখট করে হাসে…..
সোনিয়া, এই বছর এইচ এসসি পাশ করেছে। ঢাকায় পড়বে বলে কোচিং করছে।

ঈদে বাড়ি ফেরা।। সেলিনা আক্তার নূপুর

দিপা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের করিডোরে পায়চারি করছে। অপেক্ষার পালা যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। তার যেন আর তর সইছে না। কখন বাবা আসবে আর সে দৌড়ে গিয়ে বাবা কে জড়িয়ে ধরবে। এসব ভাবছে আর বাবার আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। তার সাথে তার মা ও ছোট বোন দিশা ও আছে। তারা ও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

শুভনববর্ষ রবীন্দ্রনাথ।। না‌সির আহ‌মেদ কাবুল

প্রতি‌টি নবব‌র্ষের সূর্যর‌ক্তিম প্রভাত‌বেলায় রমনার বটতলায় তোমা‌কে দেখি
ছায়ান‌টের অনুষ্ঠা‌নে মৃদ‌ঙ্গের তা‌লে তা‌লে
নে‌চে বেড়াতে;
পাতায় পাতায় কাঁপন জাগাতে
অন্তর ম‌থিত ম‌ন্দ্রিত গা‌নে, সু‌রে, বেহা‌গে;
তু‌মিই আমা‌দের সেই রবীন্দ্রনাথ!

আসে বৈশাখ।। মাহমুদা রিনি

মেঘ, তুই আমার কথা শোন–
তোকে আমি গড়িয়ে দেব
সাতলহরি রুপোর বিছে মল
ছম ছম শব্দে বৃষ্টি ঝরাবি!
আরও যদি চাস, নোলক পাবি,
জলের রঙে কাব্য আঁকা নীলাম্বরী শাড়ী পাবি–
তোকে লাগবে যেন মেঘরাজ্যের আকাশপরী,
নাহয় দেব কানেও ঝুমকো দুল!