কবি জাহিদুল যাদু
নস্টালজিয়া
গাঢ় অন্ধকারে জোনাকের নম্র প্রতিবাদী আলো,
আধো ঘুমচোখে মায়ের হাত; অনবরত কপাল ছুঁয়ে কেবলি চুলে বিলিকাটা আরাম,
সাথে রাক্ষস-খোক্কসের গল্প।
আহ্! জীবনটা অদ্ভুত সুন্দর ছিলো!
সেই গ্রাম্য শৈশব, সেই ফেলে আসা আহ্লাদ,
জীবনটা কৌটাবন্দী হয়েছে ওখানেই!
এখন ভ্রমর হয়ে সেই শৈশবের মধু খাচ্ছে
আমার সন্তান- আমার জেরক্সকপি।
মাথা ব্যথা নেই
কে কী বলছে না বলছে, ভাবছে না ভাবছে
উঁচু নিচু ভেদাভেদ করছে, না-কী করছে না
তা নিয়ে এখন আমার মাথা ব্যথা নেই।
কী কথার কী মানে, কোন কথায় কারে টানে?
ডানে বামে কানাকানি করছে, না-কী করছে না
তা নিয়ে এখন আমার মাথা ব্যথা নেই।
কতো এলো, কতো গেলো, নগদে কিম্বা বাকি
নিত্যদিনের এই জ্বালাতন দিয়ে দিয়েছি ফাঁকি
মনে ব্যথা চোখে কাঁদা, ঠোঁটের কোণে হাসি, ভুল গেছি জীবদ্দশায় কোন প্রেমেতে ফাঁসি।
ভালো খাওয়া, সুখে বাঁচা, হারিয়ে গেছে সব
দুনিয়াদারি মিথ্যা করেই থেমেছে কলরব।